Monday, January 24, 2022

খেজুর গাছ (Palm/date trees) হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতি থেকে !

ভূমিকা-(Introduction)- প্রকৃতির অনন্য ঐতিহ্য দেশী বা জংলী খেজুরের গাছ কালের বিবর্তনে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে প্রকৃতির মানচিত্র থেকে। গ্রামীন জনপদের রাস্তাঘাটের অপরুপ শোভাবর্ধণ কারি এ গাছটি শুধু কি শোভা বর্ধণ করতো ? না এটি শীতকালে গ্রামীন অর্থনীতিতে যৎসামান্য অর্থনৈতিক ভূমিকাসহ চাহিদা মেটায় অতুলনীয় স্বাদের রস এবং মূল্যবান খেজুর গুড়ের। কয়েক বছর আগেই গ্রাম বাংলার মেঠো পথের দু ধারে অহরহ সারিবদ্ধ ভাবে শোভা পেত দৃষ্টিনন্দন এ গাছটি। বর্তমানে তা খুজে পাওয়া দায়, তবে কিছু এলাকায় গাছ প্রেমি মানুষের উদ্দেগে দু-একটি এলাকায় নতুন করে শোভা পেতে দেখা যাচ্ছে  এ গাছটিকে। 

খেজুর গাছের বিবরন-(Description of date/palm tree)-বাংলাদেশে সাধারনত খেজুর গাছ সাধারনত দু-ধরনের দেখতে পাওয়া যায়- (১) দেশী বা জংলী খেজুর (Desi or wild dates) , (২) আরবি বা সৌদি খেজুর (Arabic or Saudi dates)উদ্ভিদ তথ্য গ্রন্থাগার থেকে জানা যায় খেজুর গাছ এ্যারিকেসি গনভুক্ত (The Phoenix genus of the Ericaceae family)। বিশ্বে মোট ১৪ প্রজাতীর এ ধরনের গাছ রয়েছে। এ সবের মধ্যে দেশী বা জংলী এবং সৌদি খেজুর এ দু ধরনের খেজুর গাছেই রস ও সুস্বাদু ফলের জন্য বিখ্যাত। এটি একটি এক জীব পত্রী বা একলিঙ্গ বিশিষ্ট বৃক্ষ। দেশী খেজুর বেশ দ্রুত বর্ধনশীল শাখাবিহীন এক কান্ড বিশিষ্ট গাছ। এটি নারিকেল, তাল, সুপারী গাছের ন্যায় জন্মে, গ্রীষ্মকালে এর ফল পাওয়া যায়।

জন্ম ও উৎপত্তি -(Birth and origin)-বংলাদেশের সবে এলাকাতেই জন্মে দেশী বা জংলী খেজুর গাছ। ইহা ছাড়া এটি বিশেষ করে হিমালয়ের পশ্চিোংশ থেকে পূর্ব এশিয়ার ভারতবর্ষ, নেপাল ও মিয়ানমারের আবহাওয়া বিশেষ উপযেগি। বাংলাদেশের বিখ্যাত সুন্দর বনসহ উপকূলীয় অঞ্চল গুলোতে দেখা যায় এর বংশবিস্তার। প্রধানত প্রাকৃতিক ভাবেই এ দেশী খেজুরগাছ জন্মে থাকে, মূলত কাঠবিড়ালী ও বিভিন্ন প্রজাতির পাখিরাই এর বিস্তারক।

বাংলাদেশের গ্রামীন অর্থনীতি ও প্রকৃতিতে দেশী খেজুরের গুরুত্ব-(The importance of native dates in the rural economy and nature of Bangladesh)- বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে সৌদি খেজুরের চাষ হলেও দেশী বা জংলী খেজুরের বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়না। তবে বাংলাদেশের প্রকৃতি ও গ্রামীন অর্থনৈতিতে প্রাচীনকাল থেকেই দেশী খেজুরের গাছ যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে আসছে। এ দেশের প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলের গাছী সম্প্রদায় অর্থাৎ (যারা খেজুর গাছ খেখক রস সংগ্রহ করে তাদেরকেই বলা হয় গাছী )। শীত মৌসুমে খেজুুরের রস সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। সেই সংগ্রহকৃত রস প্রতিদিন প্রত্যুষে ভোর বেলা খেকে সকাল ১০টার মধ্যে গ্রামে গ্রামে অথবা গ্রামাঞ্চলের হা-বাজার গুলোতে কলস বা হাড়ি ভরে ভারে করে কেজী বা গ্লাস দরে বিক্রি করে থাকে। এ রস অত্যান্ত সুস্বাদু ও জনপ্রিয়। শীতের সকালে খেজুর রস পান না করলে অনেকের চলবেই না। টাটকা রস বিক্রির পর অবিক্রিত রসদিয়ে গাছীরােই তৈরী করেন খেজুর গুর। এই গাছী সম্প্রদায়ের লোকজনই গ্রামাঞ্চলের রাস্তার দুপার্শে সারিবদ্ধ ভাবে খেজুর গাছ লাগিয়ে থাকেন। পাশাপাশী কিছু গাছ প্রেমী মানুষও অনেক ক্ষেত্রে পতিত জমিসহ জমির আইলে এ গাছ লাগিয়ে থাকেন।

খেজুর গুড়ের বাহারী খাদ্য তালিকা-(External food list of date molasses)-খেজুর রসের গুড় দিয়ে এ দেশের বাঙ্গালীদের জন্য শত শত বছর ধরে বাহারী সুস্বাদু খাবারের ঐতিহ্য বহন করে আসছে। আখের গুড় ১শত ২০ থেকে ৫গ টকা কেজী বিক্রি হলেও খেজুর গুড় বিক্রি হয় ২শত ৫০ থেকে ৩শত টাকা। খেজুর গুড়দিয়ে বিভিন্ন নামীদামী মিস্টির দোকানে তৈরী করা হয়-উচ্চ মূল্যের রসগোল্লা, জিলাপি, সন্দেস, খেজুর গুড়ছানা, খেজুর গুড়মিঠাই, পিঠা-পায়েস ইত্যাদি। শুধু কি তাই ? এ দেশে বসবাস রত বিভিন্ন উপজাতি সম্প্রদায় বা গোষ্টি খেজুরের রস দিয়ে তৈরি করে থাকেন-উচ্চ মূল্যের চোলাই মদসহ বিয়ার ।

খেজুর গাছের গৃহস্থলি ব্যবহার-(Household use of date palms)-থেজুর গাছ দিয়ে গ্রামাঞ্চলের মানুষ প্রাচীন কাল থেকে ঘরের বর্গা, ঘরের ছাদের বিছানিসহ ছোট খাল বা নালা পারাপারের জন্য মানুষ ও মালামাল বহনকারি ঠেলাগাড়ী পারাপারের জন্য খেজুর গাছের গুল ব্যবহার করা হত। বর্তমানে এ গাছের গুল অত্যান্ত মজবুত হওয়ায় টিনের ঘরের মুল্যবান রুয়া, বাতা হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। এ গাছের গাছের কাঠের বৈশিষ্ট সহজে ঘুন পোকা আক্রমন করতে পারেনা। ইহাছাড়াও খেজুর গাছের পাতা দিয়ে গ্রামাঞ্চলে পাটি, মাদুর, ঝুড়ি, হাতব্যাগ, ফুলদানিসহ ইত্যাদি কারুপন্য তৈরি করা হয়।

খেজুর গাছ বিলুুপ্তের কারন-(The reason for the extinction of native date palms)-প্রাচীন কাল থেকে শহর খেকে শুরু করে প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলের রাস্তার দুধারে পুকুর পাড়ে, পতিত জমি, জমির আইলে, বাড়ীর উঠানসহ অহরহ শোভা পাইত এই প্রকৃতির শোভা বর্ধনকারি খেজুর গাছ। কিন্তু বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও রাস্তা ঘাটের উন্নয়নের যাতাকলে রাস্তা প্রসস্ত করন সহ ব্যাপক হারে বাসাবাড়ী নির্মানে জায়গার সংকুলানে এ সমস্ত গাছ কেটে ফেলতে হয়েছে। কিন্তু নতুন করে আর এ গাছ লগোনো হয়নি। পাশাপাশি ইট ভাটায় খড়ির চাহিদা মেটাতেও এর ব্যবহার ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দিন দিন বিলুপ্ত হতে বসেছে এ খেজুর গাছ।

বাংলাদেশে খেরর রস ও খেজুর গুড় উৎপানের বিখ্যাত এলাকা সমুহ-(Famous areas for production of Kherr juice and date molasses in Bangladesh)- এ দেশের জলবায়ুর কারনে বাংলাদেশের বিষেশ করে ফরিদপুর, নাটোর, রাজশাহী ও যশোর জেলায় তুলনামুলক ভাবে বেশী দেখা যায় এ গাছটিকে। বাংলাদেশ কৃষি সমপ্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়- ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরকারি ভাবে উদ্যোগ নিয়ে দেশী খেজুর গাছ সংরক্ষন ও সম্প্রসারনে উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।

উপসংহার (Conclusion)(Conclusion)-দেশের সচেতন মহল ও পরিবেশ বাদিরা বিভিন্ন মতবাদে এ গাছটিকে সংরক্ষনে সরকারি ভাবে জোড়ালো পদক্ষেপ গ্রহন করে শুধুমাত্র দেশের গ্রামীন রাস্তা গুলোর দুধারে শারিবব্ধ ভাবে চারা রোপনের উদ্যাগ নিলে খেজুর গুড়ের দেশর চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে এ সুস্বাদু গুড় রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা সম্ভব।

লেখক/Author

সাংবাদিক অমিতাব বর্মণ।

ভেন্ডাবাড়ী, পীরগঞ্জ-রংপুর।

বাংলাদেশ।


Sunday, January 9, 2022

লাউচাষ (Gourd cultivation) করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব !!

 


 ভুমিকা-(Introduction)বাংলাদেশের কৃষিতে কৃষকদের মাঝে লাউচাষ ধীরে ধীরে অত্যান্ত জনপ্রিয় ও অর্থকারি ফসলের তালিকায় চলে আসছে। বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় বানিজ্যিক ভাবে শত শত একর জমিতে হচ্ছে লাউচাষ। অল্প পুজিঁ বিনিয়োগ ও স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফা হওয়ায় শীত কালিন জনপ্রিয় এই সব্জীটি চাষাবাদে ঝুকছেন কৃষক। বাণিজ্যিক ভাবে লাউচাষ করে শুধু কৃষক গন অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বীই নয়, এ সব্জীটির রয়েছে অসংখ্য পুষ্টি ও ঔষধি গুন। মজার ব্যাপার হচ্ছে এটি বাংঙ্গালীদের হরেক রকম খাবার ও রান্নার তালিকায় জনপ্রিয় একটি সব্জি। বাজারে এর চাহিদাও রয়ছে প্রচুর। বিভিন্ন প্রকারের রান্নায় এর রয়েছে বাহারি রকমের স্বাদ। বাংলাদেশ সরকারের কৃষি অধিদপ্তর ও কৃষি গবেষণা মুলক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আরও নতুন নতুন উন্নত জাতের হাইব্রিড জাতের উচ্চ ফলনশীল লাউ উদ্ভাবনে কাজ করা সহ কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে কৃষকদের কল্যাণে কৃষি প্রনোদনা ও পরামর্শ সেবা প্রদান করে আসছে।

লাউ গাছের বিবরন ও জীবনকাল-(Description and lifespan of gourd tree)-লাউ একটি লতা বা ডগা জাতীয় গাছ, লাউয়ের পাতা ও লতার রং সবুজ , এটির পাতা ও ডগা নরম হয়ে থাকে। এটির জীবনকাল ১শত ২০ থেকে ১শত ৪০দিন, ভাদ্র ও অশ্বিন মাসের মধ্যে রোপন করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়। এটির পাতা, ডগা ও ফল সবই শাক ও সব্জি হিসেবে খাওয়া যায়। এটি শীত কালিন সব্জি হলেও বর্তমানে সারা বছরই চাষ হয়। লাউ সাধারনত লম্বা ও গোলাকার হয়ে থাকে।
লাউয়ের পুষ্টি/ঔষধী গুন- (The nutritional value of lau)-পুষ্টিবিদ ও বিভিন্ন প্রকার ভোজষ চিকিৎসা শাস্ত্র খেকে জানা যায়-লাউ শুধু একটি মজাদার ও জনপ্রিয় সব্জি নয়, এর রয়েছে অসংখ্য পুষ্টি ও ঔষধি গুন। যে কোন রান্নায় লাউ খেলে (১) ডায়াবেটিস রোগি, (২) জন্ডিস ও কিডনি রোগীর অত্যান্ত উপকার করে। (৩) লাউয়ে ৯৫ভাগ পানি থাকার কারনে মানুষের শরীরের পানি শুন্যতা রোধে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। (৪) রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে অত্যান্ত ভূমিকা রাখে। (৫) লাউতে দ্রবনীয় ফাইবার খাকায় খাদ্য হজমে শক্তিশালি ভূমিকা রাখে। (৬) লাউয়ের পাতার তরকারিতে খেলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন সহ মস্তিস্ক খান্ডা রাখে। (৭) লাউ নিয়মিত খেতে পারলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে খুবই উপকারি। (৮) লাউ খেলে কোষ্ট কাঠিন্য ও এসিডিটি দুর করে। (৯) এটি হার্ডের রোগি ও মূত্রখলির সংক্রমনে যথেষ্ট ফলদায়ক। (৯) উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে কাজ করে। (১০) এটি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখতে পারলে ত্বকের শ্রীবৃদ্ধিসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অত্যান্ত ভূমিকা রাখে।
লাউচাষের পদ্ধতি-(Pumpkin cultivation method)-বাংলাদেশ কৃষি অধিদপ্তর ও কৃষি গবেষণা কেদ্রের তথ্যসূত্রে জানা যায়-অধিক ফলন ও মুনাফা পেতে হলে অবশ্যই আগাম জাতের উচ্চ ফলনশীল লাউচাষ করতে হবে। সেক্ষেত্রে উন্ত কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। (১) লাউচাষের জন্য অবশ্যই এ্যাটেল মাটি নির্বাচন করতে হবে। (২) লাউচাষের জন্য মাচা তৈরি করতে হবে, মাদার আকার (৩) লাউচাষে বীজ বা চারা রোপনের জন্য মাদা রি করতে হবে মাদা তেকে বেডের দুরত্ব হবে ২.৫মিটার, উচ্চতা হবে ১৫-২০ সেমিঃ। (৪) মাদা বা বেডের পাশ্বদিয়ে চসচের জন্য নালা রাখতে হবে। (৫) মাদায় সুস্থ্য স্ববল চারা বা বীজ বপন করতে হবে। (৬) বেডের উপরকে সর্বদা আগাছা মুক্ত রাখতে হবে। (৭) (৮) নিয়মিত সেচসহ লাউগাছের গোড়ার মাটি আগলা বা নিরান দিতে হবে। (৯) অতিরিক্ত রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা যাবে না , পরিমিত সার প্রয়োগ করতে হবে। (১০) অধিক ফলন পেতে কৃষি অধিদপ্তরের পরােমর্শে ২ এবং ৩জি কাটিং পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন।
সার প্রয়োগ পদ্ধতি-(Fertilizer application method)-নিম্ন লিখিত হারে হেক্টর প্রতি সার প্রয়োগ করতে হবেঃ- জমির ্চাউপরিভাগে- গোবর ১হাজার কেজী, ইউরিয়া ৫শত কেজী, টিএসপি ৮শত কেজী, এমপিও ৩শত কেজী ও বোরন ২কেজী। মাদার গর্তে প্রয়োগ-প্রতি গর্তের জন্য-১০কেজী সমুদয় গোবর, টিএসপি, এমপিও, বোরন ৫শত গ্রাম এবং ১/৫ অংশ ইউরিয়া পিট বা গর্তে ৪শত গ্রাম তৈরির সময় প্রয়োগ করতে হবে। বাকী এমপিও ৩শত গ্রাম ও ইউরিয়া ৪ কিস্তিতে বছরে প্রয়োগ করতে হভব।

অসংখ্য মজাদার রান্নায় লাউ-(Pumpkin in countless fun recipes)-জনপ্রিয় এ সব্জিটি নিম্নি বিত্ত থেকে মধ্য ও উচ্চ বিত্তশালী সকলের খাবারের তালিকায় রয়েছে। লাউ ঘন্টো, লাউ ডাল, লাউ চিংড়ি, ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে লাউ ইলিশ, লাউয়ের ছাল শুটকি, ছোটমাছ যেমন-পুটি, মোয়া, কটকি ও টাকি মাছ দিয়েও লাউয়ের মজাদার খাবার রান্না হয়। লাউয়ের ডাটা ও পাতাদিয়েও যে কোন মাছ রান্না করলে মজাদার হয়।
লাউচাষে উৎপাদন খরচ ও মুনাফা-(Production cost and profit in lau cultivation)-বাংলাদেশ কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে ১বিঘা (৫০ শতাংশ) জমিতে লাউচাষ করতে হলে কৃষকের উৎপাদন খরচ হবে প্রায় ২৫-৩০ হাজার টাকা। শীতকালে লাউ হেক্টর প্রতি ফলন হবে ৪০-৪৫ টন প্রায় এবং গ্রীষ্মকালে ১৮-২০টন প্রায়। শীতকালে আগাম ভাবে লাউচাষ করলে একটি লাউ বাজারে বিক্রি হয় ৪০-৫০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি ৫০ শতাংশ বিঘায় একজন কৃষক ১লক্ষ ৫০হাজার খেকে ৭০ হজার টাকার লাউ বিক্রি করতে পারবে। রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার রানীপুকুর এলাকার কৃষক মমতাজ মিয়া গত বছরে ৫০ শতাংশ জমিতে আগাম লাউচাষ করে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মুনাফা করেছিলেন। এবারেরও তিনি ৫০ শতাংশের ২ বিঘা জমিতে আগাম লাউচাষ করেছেন। ফলনও হয়েছে বেশ ভাল, বর্তমানে তার চাষকৃত লাউ নিয়মিত বিক্রি অব্রাহত রয়েছে। এবারে তিনি ২লক্ষ ৫০হাজার টাকা মুনাফার আশা করছেন।

উপসংহার-(Conclusion)-রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান জানান- স্বল্প পুঁজি ও অল্প সময়ে (৩মাসে) অধিক মুনাফার জন্য বর্তমানে লাউচাষ একটি কৃষকের ভাগ্যউন্নয়নের চাবিকাটি। বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় শত শত কৃষক শীতকালীন আগাম লাউচাষ করে স্বাবলম্বি হচ্ছেন। বানিজ্যিক ভাবে লাউচাষ করতে হলে অবশ্যই সরকারের নিয়োগকৃত স্থানীয় কৃষিবিদ বা কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শ নিলে কৃষকের উৎপাদন খরচ অনেকাংশে কম হওয়াসহ অধিক মুনাফা আয় করবে।

লেখক-(Author)-
সাংবাদিক অমিতাব বর্মণ।
ভেন্ডাবাড়ী, পীরগঞ্জ-রংপুর।
বাংলাদেশ।
০৯/০১/২০২২ইং, রবিবার।

Sunday, January 2, 2022

Privacy polecy

Contact Me

 plese join our facebook group to contact wish me.

About Me

 

I am journalist Amitab Bormon-(amitabbdbangla.blogspot.com)-Through this blog, I would like to highlight the right direction of healthcare through human nature, lost heritage, ethnic and religious practices, education, culture, agro-economy, technology, entrepreneurship , humanity, achievements, creative discoveries and the unique qualities of plant life. In this case, I hope to follow the blog with all your suggestions, prayers. Good luck
to all.